বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ভারত সরকারের দেয়া করোনা ভ্যাকসিনের চালান বিমানে করে ঢাকায় এসেছে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ভ্যাকসিন বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়া বিশেষ ফ্লাইটটি। বিমানে ১৬৭টি বাক্সে করে সেরামের তৈরি অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ড’ নামের প্রায় ১৮ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনা হয়।
করোনা ভ্যাকসিন পরিবহন করার জন্য দুটি কার্গো আনা হয়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এগুলো সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ের ইপিআই-এর সংরক্ষণাগারে।
করোনার ভ্যাকসিন রিসিভ করতে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন।
দুপুরের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এসব টিকা হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করোনার ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছে ২৭ বা ২৮ জানুয়ারি। সেদিন ২০ থেকে ২৫ জন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিকে করোনা ভ্যাকসিন দেবে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তারপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ঢাকার চারটি হাসপাতালে ৪০০-৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর জন্য ঢাকার চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করেছে সরকার। হাসপাতালগুলো হলো, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতার।
প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র হবে। তবে এখনই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে না করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্র।