রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২০ জানুয়ারি, ২০২১ ৯:৩১ : পূর্বাহ্ণ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে পাথরবোঝাই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাত জন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ১৮ জন। তিনটি গাড়িতে করে তারা বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ধূপগুড়ির জলঢাকা সেতুর কাছাকাছি মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার, রানিরহাট মোড় এবং মালবাজারের ডামডিম এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সবার পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন কনেপক্ষের আত্মীয়রা। রাস্তা ফাঁকা থাকায় উল্টো দিকের লেন ধরে গাড়িগুলো যাচ্ছিল। এ সময় ১০ চাকার একটি পাথরবোঝাই ট্রাক ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। জলঢাকা সেতুর কাছে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় সামনের গাড়িটি ডিভাইডারে উঠে কাত হয়ে যায়। সে সময় পাশ কাটিয়ে কনেযাত্রীদের বাকি দুটি গাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করতে ট্রাকটি গাড়ি দুটির ওপর উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন শিশুসহ ১২ জন নিহত হন। হাসপাতালের পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ও শিশু রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রাকের সামনে একটি লরি ছিল। যেটা খুব আস্তে যাচ্ছিল। লরিটিকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন ট্রাকের চালক। সে সময়েই উল্টো লেন ধরে আসা কনেযাত্রীর একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে ট্রাকটির।
ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।
এর আগে সকালে গুজরাটে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ওপর ট্রাক উঠে গেলে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। গুজরাটের সুরাতের কাছে কোসাম্বা গ্রামে মঙ্গলবার সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা