রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৯:০১ : পূর্বাহ্ণ
একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন আজ বসছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল সাড়ে ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অধিবেশনের প্রথম দিন ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সাধারণত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন দীর্ঘ হয়। বছরের প্রথম এই অধিবেশন ৩০ থেকে ৩৫ কার্যদিবস চলে। কিন্তু করেনা পরিস্থিতির কারণে এবারের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করে ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস চলতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সচিবালয়ের আইন শাখা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার আগে ও পরে অন্তত ১০টি বিল পাস এবং ৫-৭টি বিল উত্থাপিত হবে। ইতোমধ্যে আইন শাখায় ছয়টি বিল জমা পড়েছে এবং দু-তিন দিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিল জমা পড়বে।
ইতোমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। ভাষণে সরকারের সাফল্যসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ১০ম অধিবেশন গত ২০ নভেম্বর মূলতবি করা হয়, এর ৫৯ দিন পর ১১তম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভবনে জনসমাগম এড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অতি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা ছাড়া সংসদ সচিবালয়ের সব কর্মচারীকে অধিবেশন চলাকালীন উপস্থিত না থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংসদ ভবনে প্রবেশের স্থানে তাপমাত্রা মাপা হবে।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়ে চলে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্যও দেন।
সাংবিধানিক বিধানমতে এই অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেবেন। পরে তার ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হবে। মন্ত্রিপরিষদ এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন দিয়েছে।
১১তম জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন উপলক্ষে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বার্তা সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ জানুয়ারি (রোববার) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং হতে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং পর্যন্ত, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম প্রাপ্ত হতে হোটেল সোনারগাঁও রোডের সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত হতে গ্রিন রোডের সংযোগস্থল হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত, মিরপুর রোডের শ্যামলী মোড় হতে ধানমণ্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) নং সড়কের সংযোগস্থল, রোকেয়া সরণির সংযোগস্থল হতে পুরাতন নবম ডিভিশন (উড়োজাহাজ) ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণির পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত হতে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকা এবং এ সীমানার মধ্যে অবস্থিত সব রাস্তা ও গলিপথ।
একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।