রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৭:৪৫ : অপরাহ্ণ
জো বাইডেনের শপথ ও অভিষেক অনুষ্ঠানে ভেতর থেকে হামলা করে বসতে পারে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ন্যাশনাল গার্ড সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। এমন আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ঘিরে যেন কোন ঝুঁকি তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে মার্কিন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ন্যাশনাল গার্ড সৈন্যদের যাচাই বাছাই করে দেখছে।
স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বাইডেনের শপথ ও অভিষেক। তার বিজয় সত্যায়নে ক্যাপিটল হিলে বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র-সমর্থকদের তাণ্ডবের পর অভিষেক অনুষ্ঠানকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় ওয়াশিংটন ডিসি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আশঙ্কা- নিরাপত্তায় নিয়োজিত ন্যাশনাল গার্ডের ২৫ হাজার ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে থাকা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী কেউ ভেতর থেকে হামলা করে বসতে পারে।
এমন আশঙ্কার ভিত্তি হচ্ছে, গত ৬ ই জানুয়ারি পার্লামেন্টে ভবনে হামলার পর হামলাকারীদের কারো কারো সাথে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ এসেছে। বলা হচ্ছিল হামলাকারীদের কারো কারো সাথে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক রয়েছে অথবা আগে ছিল।
ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাপিটল পুলিশের অর্ধডজন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও একডজনের মতো তদন্তাধীন আছেন।
ভেতর থেকে হামলার আশঙ্কার মধ্যেই নিউ জার্সিতে গ্রেফতার করা হয়েছে আর্মির রিজার্ভ সেনা ৩০ বছর বয়সি টিমোথি হেইল-কুসানেলিকে। তিনি উগ্র ট্রাম্প-সমর্থক দাঙ্গাকারীদের ‘অগ্রসর’ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
টিমোথির বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী মানসিকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার হাতে রয়েছে সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্র। এ কারণে ন্যাশনাল গার্ড ও পুলিশে থাকা একই মনোভাবাপন্নদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
মার্কিন সেনা ও পুলিশের মধ্যে উগ্র শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের পদচারণার প্রমাণ বিভিন্ন সময় দেখা গেছে কৃষ্ণাঙ্গদের দমন-পীড়নের ঘটনায়।
অভিষেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসাবে রোববার এফবিআই ওয়াশিংটনের নিরাপত্তায় আসা ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মধ্যে তল্লাশি চালায়।
আর্মি সচিব রায়ান ম্যাকার্থি বলেন, ‘কর্মকর্তারা সম্ভাব্য হুমকির আশঙ্কা করছেন। ফলে সেনা কমান্ডারদের অভ্যন্তরীণ সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিষেকে কিভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে- বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতিমূলক মহড়া সম্পর্কে অন্য সামরিক নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ হামলা মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’