রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ৪:১৫ অপরাহ্ণ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সাঈদ খোকন ও মেয়র তাপসের ‘দ্বন্দ্ব’ অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান এ কথা জানান মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, সাঈদ খোকন ও শেখ ফজলে নূর তাপস দুজন ভিন্ন মানুষ। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমরা আশা করি একটা সময়ের ব্যবধানে এটা সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। তবে কোথাও যদি দুর্নীতি হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন তারা।
গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর কদম ফোয়ারার সামনে এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন এবং শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন।’
১১ জানুয়ারি খোকনের এ সমালোচনার জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।’ এরপর সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন তাপস।
তাপস ঘোষণা দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর জানা যায়, সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে দুই ব্যক্তি ঢাকার আদালতে মানহানির মামলার আবেদন করেছেন।
তার কিছু সময় পর এক বিবৃতিতে মেয়র তাপসের মানসম্মানের ‘বাজারমূল্য’ কত, তা জানতে চেয়ে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি ও অডিও বার্তা পাঠান সাঈদ খোকন।
পরে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার আবেদন অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি করেছেন বলে মন্তব্য করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মামলার আবেদন প্রত্যাহার করতে আবেদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।