রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:১২ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে শপথ নেবেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সতর্কতা দিয়ে বলেছে, জো বাইডেন শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে আবারো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প সমর্থকরা আরো সশস্ত্র বিক্ষোভ ঘটাতে পারেন।
গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বিশ্বের সিআইএ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলসহ ওয়াশিংটন ডিসিতে সশস্ত্র গ্রুপগুলো আগামী ২০ জানুয়ারির আগে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প সমর্থকরা। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা কঠোর করার মধ্যেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অনুমোদনের ফলে কেন্দ্রীয় ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জরুরি পরিস্থিতির প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে তা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
স্টাফফোর্ড আইনের ব্যবহার করে জরুরি অবস্থা ঘোষণায় অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প। এর অর্থ হলো ‘জীবন ও সম্পত্তি এবং জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় বিপর্যয়কর হুমকি এড়ানো কিংবা সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে পারবে সংস্থাগুলো।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের বাইরে আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান চাড ওলফ সোমবার জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে শপথ অনুষ্ঠানের আগে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের দিনে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারায় ৫ জন। ট্রাম্পের উসকানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা।