চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম এরশাদ উল্ল্যাহ ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি তার বাসায় ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সবুর লিটনকে সাথে নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এরশাদ উল্ল্যাহ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর পৃথক দুটি চিঠি লিখে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টি অবহিত করেছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম এরশাদ উল্ল্যাহর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রামপুর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন খোকা। তিনি শুক্রবার তার বাসায় আবদুস সবুর লিটন ও এস এম এরশাদ উল্ল্যাহকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন।
এস এম এরশাদ উল্ল্যাহর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা রাজনীতি সংবাদকে বলেন, আমি আবদুস সবুর লিটন ও এরশাদ উল্ল্যাহর মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ নিই। আওয়ামী লীগ সভাপতির সিদ্ধান্ত ও নগর আওয়ামী লীগের অনুরোধে এরশাদ উল্ল্যাহ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি নগরীর চারটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থী সরে দাঁড়ান।
এরা হলেন, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নূর মোস্তফা টিনু, ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের আবদুল মান্নান, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের সাব্বির আহমেদ এবং ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
দলীয় সূত্রের খবর, নগরীর আরও ৩২টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের পঞ্চাশের অধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৮ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীদের ভোটের প্রচারণা শুরু হচ্ছে। নির্বাচনে ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৫ জনকে সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ৩২টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।
আরও পড়তে পারেন:
