রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি ২০২১, ১১:১৫ অপরাহ্ণ
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এ কর্মসূচি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।’
সোমবার (৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে সেতৃমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএনপি কেন বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে? এখানেই তাদের স্বাধীনতাবিরোধী চরিত্র ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিদ্বেষ ফোটে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তার খুনিদের সুরক্ষা প্রদান ও পুনর্বাসিত করেছিল বিএনপি। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার সম্মানহানির অপচেষ্টার সঙ্গে সমান্তরালভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস সর্বজনবিদিত।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক মেলবন্ধন তার ওপর বিএনপি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার অর্থ হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরাহত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত হওয়া। শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের অনন্য মাইলফলক। জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত ১০ জানুয়ারিতে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির কাছে এক অবিনাশী চেতনার নাম, অফুরান আত্মপ্রত্যয়ের উৎস; প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চেতনার ধমনীতে প্রবাহিত শুদ্ধতম নাম। বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বাঙালি জাতি অতীতের মতো কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।