শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ৭:৩৯ : অপরাহ্ণ

পাকিস্তানে একটি মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশত মুসলমান ওই হিন্দু মন্দিরে হামলা ভাংচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা পেশোয়ার থেকে ১০০ কিলোমিটারের দূরের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, এ ঘটনার পর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে দেখা গেছে, উগ্র ধর্মীয় নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাতুড়ি বাটাল নিয়ে আক্রান্ত মন্দিরটির গায়ে আঘাত হানছে তাদের অনুসারী কর্মীরা। একই সঙ্গে মন্দিরের চারপাশ ঘিরে ধোঁয়া উড়তেও দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ এমনটা জানিয়েছে।

জেলা পুলিশ প্রধান ইরফানুল্লাহ খান বলেছেন, স্থানীয় মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের উসকানিতে সর্বোচ্চ ১২০০ মানুষ হিন্দু মন্দিরটি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সন্ত্রাস নৈমিত্তিক ঘটনা প্রায়। দেশটিতে মুসলমান জনসংখ্যা ৯৭ শতাংশ এবং হিন্দুর সংখ্যা মাত্র ২ ভাগ। চলতি মাসের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ধর্মীয় দিক থেকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

ইরফানুল্লাহ খান বলেন, মন্দিরটিতে নিয়মিত পূজা অর্চনা করা হয় না। তবে এটি কয়েক বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষ সাম্প্রতিক সংস্কার কাজের সময়েও এটির দিকে নজর দেয়া হয়নি। ঘটনার পর পুলিশ ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

খাইবার পাখতুনের প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী কামরা বানগাস বলেছেন, যা ঘটেছে তা সত্য। আমরা এটাকে জঘন্য ধরনের সন্ত্রাস বলে বিবেচনা করি।

স্থানীয় একজন বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সালমান খাটাক বলেছেন, মুসলিম নেতাদের নির্দেশেরপর একদল মুসলমান হঠাৎ করে মন্দিরটির দিকে এগিয়ে গিয়ে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে তারা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই ধ্বংসকার্য চালিয়েছে।

পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের নেতা রমেশ কুমার বলেছেন, তারা সুপ্রিম কোর্টের সামনে গিয়ে এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানে প্রায় সময় হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্য সংখ্যালঘুরা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর