রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ৪:১৩ : অপরাহ্ণ
আগামীতে নিজস্ব শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতীতের কোনো সরকার সমুদ্রসীমা উদ্ধারের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি এবং সফল হয়েছি। ২৭টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনী হয়েছে নৌবাহিনী।’
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারে আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। আমাদের ডকইয়ার্ড চট্টগ্রামে এবং নারায়ণগঞ্জে, সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। লক্ষ্য হলো নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমরা আমাদের যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করবো। যার কাজ ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। তাছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়াতে আমরা সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছি।
শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ২৭টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করেছি। ২০১৭ সালে নৌবাহিনীতে ২টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন আমরা সংযোজন করেছি। ফলে আমাদের বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছি।’
বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না, শান্তি চায় উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের সব সময় লক্ষ্য, আমাদের দেশটা স্বাধীন দেশ। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সব রকম প্রস্তুতি নেবো। কিন্তু কারো সঙ্গে যুদ্ধ নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই পররাষ্ট্র নীতি নিয়েই আমরা চলবো।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘যে জাতি নিজেকে সম্মান করতে পারে না, আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে পারে না, সে জাতি দুনিয়ায় কখনো বড় হতে পারে না’, সেজন্য আমরা আত্মমর্যাদা বিশিষ্ট জাতি হিসেবে বাস করতে চাই। আমরা অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না, অন্য কেউ আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক তাও আমরা চাই না।”
নবীন অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নির্দেশ মেনে চলতে হবে। নবীন অফিসার তোমরা জাতির পিতার আদেশ মেনে চলবে। তিনি জাতির জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।