রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ৫:৩৪ : অপরাহ্ণ
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের ২৪ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ। এখন সব কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। দু-এক জায়গায় পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই।
আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেয়া হয়। সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটার। অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা।
এবারই প্রথমবারের মতো পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেক জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ভোটাররা। আগে থেকে অভিজ্ঞতা না থাকায় বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই ভোট দিতে অধিক সময় নিয়েছেন। এতে বাইরে লাইনে অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাকি ভোটারদের। আবার অনেক কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলাতেও বিপাকে পড়েন ভোটাররা।
ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু। এছাড়া খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করেছেন বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের খান।
২৪ পৌরসভার মধ্যে ২৩টিতেই বড় এই দুই দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। সেখানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নেই। কয়েকটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
ইসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪টি পৌরসভায় মেয়র পদে ৯৩, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬৬ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের এ নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।