প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন হলে সবার উন্নতি হবে। আর দেশে শান্তি থাকলে প্রতিটি মানুষই শান্তিতে থাকবে। তাই মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সেনাবাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। বিশ্বে যেন দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জল হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে মিলিটারী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ও ৭৯তম বিএমএ লং কোর্স সমাপনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।
সেনাবাহিনীকে সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় জিনিস হলো সততা, একতা ও নিষ্ঠা। আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। তাই আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন,‘সেনাবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যথেষ্ট অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রতিটি দেশে প্রত্যেকেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। যখন এই প্রশংসা আমি শুনি, সত্যিই গর্বে বুক ভরে যায়। কাজেই সবাইকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে দেশের উন্নতিতে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। নবীন সেনা সদস্যদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। তারা অল্প বয়সে চাকরিতে যোগদান করে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় না। তাই তাদের জন্য ৩ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স ও ৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছি, যেন তারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীতে নারী অফিসার অন্তর্ভুক্ত করে বর্তমান সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৪১ সালে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য আজকের নবীন অফিসাররা দেশ গড়ার কারিগর হবেন।