‘নতুন’ ধরণের করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্শ্ববর্তী ইউরোপের অন্যদেশগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে আগের রেকর্ড ভেঙে ৩৬ হাজার ৮০৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬৯১ জনের।
এ নিয়ে ইউরোপের অন্যতম সংক্রমণকবলিত এই দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ২১ লাখ ১০ হাজার ৩১৪জন এবং মোট মৃত্যু সংখ্যা ৬৮ হাজার ৩০৭ জন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(ডাব্লিউএইচও)-কে এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। লন্ডনের নতুন যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৬০ শতাংশই নতুন ভাইরাসের কবলে পড়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি গতিতে ছড়ায়। যার জেরে দক্ষিণ ইংল্যান্ডে সম্প্রতি অতি দ্রুত গতিতে করোনা ছড়িয়েছে।
এই ভাইরাস প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা গিয়েছিল।
করোনা প্রতিরোধে তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। সংক্রমণ ছড়ানোর ১২টি এলাকাকে চিহ্নিত করেছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এ করোনাভাইরাস অন্যান্য ধরণের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত সংক্রমণশীল। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাতে রয়েছে শিশুরাও।
তবে করোনাভাইরাসের এ নতুন ধরণ প্রতিরোধেও নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে দাবি করেছে মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োএনটেক।
জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী বলেন, যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরণের করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও এ ভ্যাকসিন কার্যকর। বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হতে কাজ করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ডের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনও নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। ভাইরাসের গতিবিধি পরিবর্তনের বিষয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এমন আতঙ্কের মধ্যেও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশন।
গত একদিনে ইউরোপের দেশগুলোতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫হাজার ৬৬২ জন।