রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বেহেস্ত থাকলে উনিও লজ্জা পাবেন যে মেজর হাফিজকে শোকজ করেছে।’
বনানীতে নিজ বাসভবনে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। দায়িত্বপালনে অপারগতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শোকজের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যের ব্যত্যয় ঘটেছে। ব্যক্তি রুহুল কবির রিজভী একজন ভদ্র, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতা। তার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তার কাছ থেকে এ ধরনের চিঠি আশা করিনি।’
তিনি বলেন, জনগণ মনে করেন যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা সেটি বিএনপি বর্জন করেছে। যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা নয় সেটিতে অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৮ সালের মধ্য রাতের নির্বাচন করা ও সংসদে যোগ দেয়া উচিত হয় নাই এমনটি জনগণ মনে করে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপিতে যোগদানের পূর্বেই আমি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম। বিগত ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি।’
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নাই। ঢাকা শহরে আমার কোনও বাড়ি নাই। আমি দলে হয়ে কাজ করছি না, এটি কি করে বলে তারা। এলাকায় সবসময় বিএনপির জন্য রাজনীতি করি দলের হয়ে। আমি ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করি না। এলাকার নেতাদের মামলার খরচ থেকে শুরু করে সকল খরচ আমি বহন করছি।
প্রসঙ্গ বিএনপি, জামায়াত, ঐক্যফ্রন্ট ও বামসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও কিছু পেশাজীবী নেতা ‘সরকার পতন’র দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে প্রচার করা হয়। এজন্য ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে অংশ না নিতে শেষ মুহূর্তে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তা দেয়া হয়। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হন। এ কারণে তাদের শোকজ করা হয়। হাফিজ উদ্দিনকে ৫ দিন ও শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।