ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় কওমি আলেমরা। বৈঠকে আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানিয়েছেন কওমি আলেমরা। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে দুপক্ষের কেউই এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য করেনি।
গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে শীর্ষস্থানীয় কওমি আলেমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান। বৈঠকে আলেমদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) সভাপতি মাহমুদুল হাসান। বৈঠকে ১২ জন আলেম অংশ নেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তারা প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রী ব্রিফিং করবেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে মাওলানা রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত আলদের বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোই মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। ভাস্কর্য না বানানোসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাবগুলো যেনও বাস্তাবায়ন হয় সে বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বা অন্য যে কোনও ভাবে।’
মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী বলেন, ‘আলোচনা সন্তোষজনক। আলোচনা আরও হবে। ৫ ডিসেম্বর আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটাই মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।’
বৈঠকে আরো অংশ নেন- আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গওহরপুরী।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় শীর্ষ কওমি আলেমদের বৈঠক থেকে ৫ দফা প্রস্তাব জানানো হয়। ওই বৈঠক থেকেই সরকারের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ বন্ধের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সংগঠন আন্দোলন করে আসছে। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।