রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ৬:২২ : অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুরের পেছনে ‘বিএনপির উসকানি’ দেখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পৃষ্ঠপোষক বিএনপি, তাদের উসকানিতে আজ একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে অবমাননার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্রসহ দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই সরকার বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। বিএনপির মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, ‘পেট্রলবোমা মেরে শত শত মানুষকে জীবন্ত হত্যার মধ্য কারা দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল জনগণ তা জানতে চায়।’
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত সম্ভাবনাময় এ দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আপনারাই বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলেন। ৩ নভেম্বর নিরাপদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন আপনারা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আর এক বধ্যভূমি করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে। আইভি রহমানসহ শত শত নেতাকর্মীর রক্তের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল।’
সম্মেলনের প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যারা তখন ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।’
তাদের সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আরিফুর রহমান রকেট ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নাম ঘোষণা দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।