হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে সম্মেলন আহ্বান করেছেন। সংগঠনটি ইসলামী আলোচকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে দেশে কিছু বিতর্ক ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের সংকট নিরসনে আলেম সমাজের ভূমিকার বিষয়ে এ সম্মেলন আয়ােজন করা হচ্ছে বলে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের উপদেষ্টা মামুনুল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে তিনি এ সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেন।
মামুনুল হক তার পোস্টে লিখেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বর্তমানে দেশে কিছু বিতর্ক ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ বিরাজ করছে ৷ দাওয়াত ও ওয়াজ-নসিহতের ময়দানেও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে নানা রকম সমস্যা ও সংকট ৷ এই পরিস্থিতিতে দেশের আলেম সমাজের দায়িত্ব অনেক বেশী ৷ যেমনিভাবে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানো তাদের দায়িত্ব, মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধি ও নৈতিকতার উৎকর্ষ সাধন তাদের সুমহান জিম্মাদারী, তেমনি সমাজ ও জাতির মধ্যে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেখলে তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করাও তাদের দায়িত্ব ৷ এমন দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সম্মানিত খতিব ও ওয়ায়েজীনে কেরাম যদি যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হন, তবে দেশ ও জাতির সমূহ কল্যাণ সাধিত হবে বলে আশা করা যায় ৷ অপর দিকে এর ব্যত্যয় ঘটলে জাতি বঞ্চিত হবে অনেক বড় কল্যাণ থেকে ৷ এই বিবেচনার আলোকেই ওয়ায়েজীন ও ইসলামী আলোচকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ ইসলামী আলোচকদের নিয়ে একটি দিকনির্দেশনামূলক ইসলামী মাহফিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷
পুলিশ প্রশাসন এ সম্মেলনের অনুমতি দিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়ানো হেফাজতে ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে চান বলে জানিয়েছেন।
গত ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে তিনি আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটাবেন এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলবেন।
এরপর ২৭ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মাহফিলে বলেন, কোনো ভাস্কর্য তৈরি হলে তা টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া হবে।