রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ৭:৫১ : অপরাহ্ণ
‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অমানবিক স্বৈরশাসনে বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় চলছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে।’
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এ দেশে শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক, নারী-শিশুসহ কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের নিরাপত্তা নাই। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে কারান্তরীণও করে রাখা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন নির্দয় আচরণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের শাসনামলে মানুষের ন্যূনতম বাকস্বাধীনতা নেই। নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ তথা প্রতিবাদ করার ন্যূনতম সুযোগ অবশিষ্ট নেই। নাগরিক অধিকার পুনঃরুদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’