

মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি বড় আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, এটা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশা।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বলেন,আওয়ামী লীগ প্রতিঘাত সইতে সইতে একটি অর্জন ও সাফল্যের হীরক খণ্ডে পরিণত হয়েছে ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আবার মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার জেগে উঠুক, এই প্রত্যাশা নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, আমাদের দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে যাবেন এবং ইসলামের পবিত্র মর্মবাণী পৌঁছে দিয়ে মানবতাকে জাগ্রত করুন।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং তাদের প্রতিহত করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। ৭১ এ যারা গণহত্যা ও নারী ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিল তারা এ স্বাধীন বাংলাদেশে আবার আঘাত হানতে চায়। তবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাস এ ডিসেম্বরে ওই পরাজিত শক্তিকে পরাহত করার হিম্মত আমাদের আছে।
দলের ভিতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষকে সচেতন করা। এ সচেতনতাই হচ্ছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কবচ।
সমাবেশে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাংচুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে নগরীর সাতটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জহিরুল আলম দোভাষ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আন্দরকিল্লা চত্বর থেকে শুরু হয়ে মোমিন রোড, চেরাগী পাহাড় মোড়, জামালখান মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।