যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩৯তম স্থানে রাখা হয়েছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের গত বছরের করা তালিকায় ২৯তম স্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। সে হিসেবে পূর্বের অবস্থান থেকে দশ ধাপ পেছালেন তিনি। তারও আগের বছরের তালিকায় ২৬তম স্থানে ছিলেন তিনি।
প্রতিবছরই এই ধরণের তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এই তালিকায় এবার ৩০টি দেশের বিভিন্ন বয়সী নারীদের নাম এসেছে। তাদের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান আছেন ১০ জন। ৩৮ জন বিভিন্ন কোম্পানির সিইও। বিনোদন জগতের পাঁচজনও এসেছেন ক্ষমতাধর নারীদের এই তালিকায়।
তালিকায স্থান পাওয়া নারীদের বয়স, জাতীয়তা কিংবা কাজের ধরনে পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু তারা সবাই তাদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেছেন ২০২০ সালের মৌলিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে।
টানা দশমবারের মত এ তালিকার শীর্ষস্থানে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। আর টানা দ্বিতীয়বারের মত দ্বিতীয় স্থানে আছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ক্রিস্টিন লগার্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান কমলা হ্যারিসও এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় আছেন তৃতীয় স্থানে।
গতবারের মতই এবারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসপত্নী মেলিন্ডা গেটস আছেন পঞ্চম স্থানে।
নিউজিল্যান্ডের তরুণ প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান আছেন এবারের তালিকার ৩২তম স্থানে। এ বছর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ক্ষমতাধর নারীদের এই তালিকায় এই উপমহাদেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে আরও আছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের, তিনি আছেন ৪১তম স্থানে।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় রেখে ফোর্বস সাময়িকী তার সম্পর্কে লিখেছে, ‘টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা এবারের মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা এবং জনগণের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দেশে মজবুত গণতন্ত্রের ভিত গড়তে তিনি সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেও উল্লেখ করা হয়।’