এবার সিলেটে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীমকে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ। আগামী ১০-১২ ডিসেম্বর তিন দিনব্যাপী সিলেট আলীয়া মাদরাসা এক ওয়াজ মাহফিল তার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের সহযোগী সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করছে।
সিলেট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য প্রদানকারী মুফতি রেজাউল করীমকে সিলেটে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের পাশে এ ওয়াজ মাহফিলের জন্য নির্মিত তোরণ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যে কোনো মূল্যে এই মাহফিলের আয়োজন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অপরদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে কোনো মূল্যে চরমোনাই পীরকে সিলেটে প্রতিরোধ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।এ নিয়ে সিলেটে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ইসলামী আন্দোলনের সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান জানান, ওয়াজ মাহফিলের জন্য নির্মিত তোরণ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে মাহফিলের অনুমতি নেয়া হয়েছে। আমরা প্রতিবছরই এই মাহফিলের আয়োজন করে থাকি।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী চরমোনাই পীরকে আমরা সিলেটে মাহফিল করতে দিবো না।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যা তাহের বলেন, আলিয়া মাদরাসা মাঠের ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি নিয়েছেন আয়োজক কমিটি। এরপরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা সার্বিক অবস্থা কঠোরভাবে নজরদারি করছি এবং কোনো ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ যাতে তৈরি না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলেই আমরা সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেবো।