রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১:৪৯ : অপরাহ্ণ
নতুন এক আশঙ্কা। একদিকে যখন ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে, তখন পরীক্ষামূলক ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন খোদ হরিয়ানা প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ।
গত ২০ নভেম্বর ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল ডোজ নিয়েছিলেন অনিল ভিজ। হরিয়ানার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই টিকা নিয়েছিলেন তিনি। তবে এর পরেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তার। যার অর্থ, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি তার। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) একটি টুইট বার্তায় এমনটি জানান ৬৭ বছর বয়সী ভিজ।
টুইট বার্তায় ভিজ বলেন, আমি করোনা পজিটিভ হয়েছি। যারা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদেরকেও করোনা টেস্ট করার পরামর্শ দিচ্ছি।
সরকারি একটি সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ জানার পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দ্রুত আম্বালার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর তৈরি করেছে এই কোভ্যাক্সিন। ফেজ ১ ও ফেজ ২ ট্রায়ালের সাফল্যের কথা আগেই জানিয়েছিল সংস্থা।
যদি ফেব্রুয়ারিতে কোভ্যাক্সিনকে লঞ্চ করা হয়, তবে এটিই হবে দেশের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন। এর আগে হায়দরাবাদের এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দোসরা অক্টোবর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট জমা দেয় ডিজিসিআইয়ের কাছে। তারপরেই সেটি সফল বলে ঘোষণা করা হয়। অনুমতি মেলে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের।
ভারত বায়োটেক আগেই জানিয়েছিল, দ্বিতীয় ট্রায়ালে ১৯টি জায়গায় পরীক্ষা চলেছে, ১৮ বছর বয়েসী ও তার থেকে বড় বয়সের মানুষের ওপর। ২৮৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন।দিল্লি, মুম্বই, পাটনা ও লখনউ সমেত ১০ টি রাজ্যে এই ট্রায়াল চলে বলে জানা গিয়েছে।
ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ জানিয়েছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত গাইড লাইন মেনেই কোভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে। এটি কার্যকরী ও নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে দ্বিতীয় ট্রায়াল পর্যন্ত। তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত এই ভ্যাকসিন।
ভারতের বাজারে যখনই কোভ্যাক্সিন আসবে, তা প্রাথমিকভাবে মানব শরীরে ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে বলে জানায় ভারত বায়োটেক। প্রথম পর্যায়ে সেই ভ্যাকসিন অন্তত ৬০ শতাংশ কার্যকরী হবে মানব শরীরে।
ভারত বায়োটেক ছাড়াও জাইডাস ক্যাডিলা তৈরি করছে করোনার ভ্যাকসিন। এটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।ব্রিটিশ ফার্মা সংস্থা ‘অ্যাস্ট্রা জেনেকা’র সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারতের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া।