রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ৫:৪৪ : অপরাহ্ণ
দুর্নীতির মামলায় সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা সাময়িক স্থগিত হলেও তাকে গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে বলে আবারো মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আগামীকাল রোববার (৬ ডিসেম্বর) স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগেও বিএনপি মহাসচিব এমন মন্তব্য করেছিলেন।
বিএনপির চলমান সংগ্রামের এখন মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করা-এই অঙ্গীকার করে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের অটল ও আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়াকে পরাজিত শত্রুরা চক্রান্তমূলকভাবে অন্তরীণ করে রেখেছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরঙ্কুশ করার জন্য আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে ফেলার আয়োজন চলছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সে আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছিল আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা। এই দিনে গণতন্ত্রের দুশমনেরা পরাজিত হলেও আজও তারা চুপ করে বসে নেই। একতরফা নির্বাচন করে আবারও জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দী করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্র আজও নামে-বেনামে একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমণে আক্রান্ত।
মির্জা ফখরুল বলেন, বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সবসময়। আমাদের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে তার অগ্রযাত্রায়। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সকল বাঁধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনও শৃঙ্খলমুক্ত মুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশ ফুটে উঠছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর আচরণে।