রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

ফয়জুল-মামুনুল সমর্থকদের ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল, পুলিশি অ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর ২০২০, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সমর্থকদের ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর তারা জাতীয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে হঠাৎ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মসজিদের সামনে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ভাস্কর্যবিরোধী স্লোগান দিয়ে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিল। পল্টনে বিক্ষোভকারীদের আবার ব্যরিকেড দেয় পুলিশ। তারা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। এরপর শুরু হয় পুলিশের অ্যাকশন। পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে উধাও হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম-পল্টন-কাকরাইল এলাকায় পরিমাণ পরমিাণ পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।

পুলিশ জানায়, জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের একটি অংশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। আরেকটি অংশ মসজিদের সিঁড়ির ওপর অবস্থান নেয়। এসময় তারা হঠাৎ করে ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মিনিট পাঁচেক স্লোগান দেওয়ার পর একটি অংশ উত্তর গেট দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের হাতে ‘বাতিলের আতংক বাংলার ভাগ ফয়জুল করিম মামুনুল হক’ লেখা প্ল্যার্কাড ছিল।

মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু জানান, র্পূব অনুমতি ছাড়া সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। আজ (শুক্রবার) মিছিলের ব্যাপারে আমরা আগে থেকেই সর্তক ছিলাম। হঠাৎ করে একদল মুসল্লি নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুমতি ছাড়া মিছিল, সভা-সমাবেশসহ কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ধোলাইপাড় মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সম্প্রতি ধর্মভিত্তিক ইসলামী সংগঠনগুলোর ভাস্কর্যবিরোধী অবস্থান তীব্র হয়। ভাস্কর্যকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে তা বন্ধের দাবি জানায় ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করা না হলে তা ভেঙে ফেলারও হুমকি দেয় কট্টরপন্থি ইসলামি দলগুলো।

গত ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর ধূপখোলা মাঠে এক সমাবেশ থেকে ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর নামে স্থাপিত ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে তা অপসারণের দাবি তুলে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন।

‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তারা বলেন, মূর্তির বদলে আল্লাহ, কোরআন ও হাদিসের বাণী সম্বলিত মিনার স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ মসজিদের দেশ, আউলিয়ার দেশ, মাদরাসার দেশ। এদেশে কোনও মূর্তি থাকতে দেয়া হবে না।

একই দিনে গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ‘শানে রিসালাত’ কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর