বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আশ্বস্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার কোনো বাধা দেবে না। তবে আন্দোলনের নামে অশান্তি সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স যোগে যুক্ত হন তিনি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পূর্বানুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অন্যের উপর ভর করে ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খুঁজছে। ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যে কোন অপচেষ্টা কঠোর ভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি বার্তা দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, মিমাংসিত বিষয় নিয়ে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাবধান করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দল করলে দলের শৃঙ্খলা মানতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনে কোন লাভ হবে না, যদি দলে শৃঙ্খলা ফিরে না আসে। সাধারণ মানুষের সাথে আচরণ খারাপ করে উন্নয়নকে ম্লান করা যাবে না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইতিমধ্যে যারা বিদ্রোহ করেছে তাদের আর দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
দলে মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করা থেকে বিরত থাকতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য ওবায়দুল কাদের বলেন, দিনের পর দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য দলের পদ পদবি কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। দলের ও সরকারের ইতিবাচক অর্জনগুলো যেন ম্লান না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।