রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ ডিসেম্বর, ২০২০ ৯:৪৫ : অপরাহ্ণ
ঢাকা মহানগরীতে প্রশাসনের পূর্বানুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারিতে ‘অশনিসংকেত’ দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং গণতন্ত্র ও রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। সংবিধান ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া মিছিল ও সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি। বুধবার ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, ডিএমপি এলাকায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন সভা, সমাবেশ, গণজমায়েতসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। ঢাকা মহানগরের নাগরিকদের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে মিছিল ও সভা-সমাবেশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হঠাৎ করে ডিএমপিকে দিয়ে পূর্বানুমতি ছাড়া রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার আবারও সংবিধান লংঘন করল। অথচ ক্ষমতাসীন দল বা তাদের সমর্থক সংগঠন কোনো পূর্বানুমতি বা শর্ত ছাড়াই যখন তখন রাস্তা বা লোকালয় দখল করে সভা-সমাবেশ করছে।
সংবিধানে অবাধে সভা-সমাবেশ করার অধিকার যে কোনো নাগরিক ও সংগঠনের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সংবিধান স্বীকৃত জনগণের এই অধিকার বিভিন্ন সময় কেড়ে নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনুমতির নামে সরকার রাজনীতিকে বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে আটকে নিয়ন্ত্রণ করছে, জনগণের অধিকার হরণ করছে। রাজনীতির স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ ও সংকুচিত করছে। মূলত প্রশাসনকে অপব্যবহার করে জনরোষ ও গণআন্দোলন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সরকার সংবিধান স্বীকৃত জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করছে।