রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ ডিসেম্বর, ২০২০ ৬:২৭ : অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় দফায় দেশের আরও ৬১টি পৌরসভায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি এসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ২৯টি পৌরসভায় এবং ব্যালটের মাধ্যমে ৩২টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
আজ বুধবার (০২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এই তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।
সারাদেশে ৪ ধাপে ১৯৪টি পৌরসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২৮ ডিসেম্বর ২৫টি পৌরসভায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
ইসির সচিব বলেন, আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এবার চার ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে মেয়র পদে ১১২ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আর দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি হবে।
ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, আগামীতে আরও দুটি ধাপে ১০৮ পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তৃতীয়ধাপের ভোট জানুয়ারির শেষের দিকে। আর চতুর্থ ধাপের ভোট হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। সক্ষমতা, প্রাপ্তি, প্রশিক্ষিত লোক ও কারিগরি বিষয় বিবেচনায় সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট করা সম্ভব হবে না বলে জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ৩০টির মতো পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালটে ভোট হবে। শীতকাল হওয়ায় সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল খুব তাড়াতাড়ি হবে। কর্মপরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করলেই তফসিল দেওয়া হবে। বাকি পৌরসভাগুলোয় প্রতিটি ধাপে অন্তত ৫৪টি করে পৌরসভার তফসিল দেওয়া হবে।
যে ৬১ পৌরসভায় ভোট:
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ; নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া; কুষ্টিয়ার সদর, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী; মৌলভীবাজারের কুলাউড়া; নারাণগঞ্জের তারাব; শরীয়তপুর সদর; কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী; গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ; দিনাজপুর সদর, বিরামরপুর ও বীরগঞ্জ; মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ; মাগুরা সদর; ঢাকার সাভার; নওগাঁর নজিপুর; পাবনার ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সাঁথিয়া, সুজানগর ও ঈশ্বরদী; রাজশাহীর কাকনহাট, ভাবনীগঞ্জ ও আড়ানী; সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী; ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা; নাটোরের নলডাঙ্গা, গোপালপুর ও গুরুদাসপুর; বগুড়ার শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও শান্তাহার; সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, রায়পুর ও কাজিপুর; পিরোজপুর সদর; মেহেরপুরের গাংনী; ঝিনাইদহের শৈলকুপা; খাগড়াছড়ি সদর; বান্দরবানের লামা; নীলফামারীর সৈয়দপুর; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী; কুমিল্লার চান্দিনা; ফেনীর দাগনভূঞা; কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়াচর; নরসিংদীর মনোহরদী; নোয়াখালীর বসুরহাট এবং বাগেরহাটের মোংলাপোর্ট।
দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়।