রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ নভেম্বর, ২০২০ ১২:৩১ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন। আজ রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণ হলে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলাদাভাবে আরেকটি সেতু নির্মাণ, এটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনারা জানেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। অর্থাৎ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্বের মধ্যে সেতুবন্ধ করতে গেলে আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে সেতু সংযোগ করতে হবে। ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে—এই দুটি সেতু যদি আমরা সম্পৃক্ত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরো বাড়বে। ব্যাবসা বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে, মানুষের যোগাযোগ বাড়বে। আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন , দেশের অভ্যন্তরীণ সুবিধা সবচেয়ে বড় বিষয়। এর আগে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা লেগে থাকতো। আওয়ামী লীগ থেকে তখন আমরা সহযোগিতার জন্য যেতাম। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়াগায় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো। যোগাযোগ হলে মানুষের অর্থনীতি সচল হয়।’
এশিয়ান হাইওয়ে এবং রেলওয়ের সাথে সংযুক্ত হতে কাজ চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মৃতপ্রায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজের এই রেল সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ লাইনটিতে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে রেল চলতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হলে ৮৮টি রেল চলাচল করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে এবং ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে।