রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৮ নভেম্বর, ২০২০ ৯:৫৯ : পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক দলের জো বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণার ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিপাবলিকান ট্রাম্প শিবিরের করা মামলা প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলাডেলফিয়ার একটি আদালত।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন।
ট্রাম্প শিবিরের করা এ মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ তোলা বা প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফিলাডেলফিয়ার আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বিচারক প্যানেলের পক্ষে স্টিফানোস বিবাস লেখেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্রের প্রাণ। অন্যায়ের অভিযোগ গুরুতর হলেও, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বললেই তা হয়ে যায় না।’
বিবাস আরো উল্লেখ করেন, ‘মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের প্রয়োজন হয়। এখানে কোনোটিই নেই।’
ট্রাম্পের আইনজীবী দলের অন্যতম জেনা এলিস এক টুইটবার্তায় বলেন, পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের ব্যাপক ভোট জালিয়াতি আড়াল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এখন বিষয়টি প্রমাণের জন্য তাঁরা সুযোগ পাবেন বলে এমন রায়কে ধন্যবাদ জানান জেনা এলিস।
গত বৃহস্পতিবার ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের মাধ্যমে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হলে হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে গতকাল শুক্রবার তিনি আবারও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে টুইট করেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন তখনই হোয়াইট হাউসে ঢুকতে পারবেন, যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে আট কোটি হাস্যকর ভোট তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে পাননি।’
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারলে হোয়াইট হাউস ছাড়বেন কি না, সাংবাদিকদের এমন জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই, এবং অবশ্যই, আপনারা সেটা জানেন।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘যদি তাঁরা (ইলেকটোরেটরা) তাঁকে (জো বাইডেন) নির্বাচিত করেন, ভুল করবেন। এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হতে যাচ্ছে।’
ভোটে অনিয়ম নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর লোকজন বেশকিছু আইনি পদক্ষেপ নিলেও কোনোটিই ধোপে টেকেনি। এসব নিয়ে কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার পর অবশেষে গত মঙ্গলবার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ৩০৬টি ভোট পেয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট। প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০টির বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। এ ছাড়া পপুলার ভোটেও ট্রাম্পের চেয়ে ৬০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বাইডেন।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজ সদস্যদের ভোট নেওয়া হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে এরপর ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করবেন জো বাইডেন।