শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

হাস্যকর বক্তব্য না দিয়ে বিএনপির উচিত দলকে সংগঠিত করা : তথ্যমন্ত্রী



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৪৫ : অপরাহ্ণ

ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টায় সফল হতে না পেরে বিএনপির এখন গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির যে অভিযোগ তুলেছেন তার জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। সভায় বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দীন বক্তব্য দেন। ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেয়েছিল ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক বানাতে। বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে প্রধান শিক্ষক বানানোর অপচেষ্টায় ছিল তারা। দেশের মানুষ যখন সঠিক ইতিহাস জানতে শুরু করেছে, তখন বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনো বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রতিদিন সরকারকে টেনে নামানোর কথা বলছেন। এর মধ্যেই প্রায় এক যুগ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই এখন রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে। তাদের উচিত এসব হাস্যকর বক্তব্য না দিয়ে দলটাকে সংগঠিত করা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন- এই সরকার কখনও পদ্মা সেতু করতে পারবে না। তাদের বলব- পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলি, বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নয় তার অনেক আগেই, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে। সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মতো বদলে যাওয়ার অগ্রগতির গল্প যদি বিশ্ববাসীকে জানান দিতে হয়, শেখ হাসিনাকে একটু সময় দিতে হবে। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর সফলতা সেখানেই যেই পাকিস্তান সংশয় প্রকাশ করতো বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে ঠিকবে কিনা। সেই পাকিস্তানের মানুষ শুধু নয় তাদের প্রধানমন্ত্রীও আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে আক্ষেপ করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভারত পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ঝড় উঠছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারেননা। বিএনপি আর তার দোসরেরা দেখেও দেখেনা, শোনেও শোনেনা, চোখ থাকিতে তারা অন্ধ, কান থাকতেও বধির।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাঙালির নেতা নয়, তিনি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে একজন বিশ্ব নেতা এবং নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর। ১৯৭১ সালে আমরা যখন স্বাধীনতা অর্জন করি, তখন সমগ্র দেশকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল হানাদাররা। তারা সব ব্রিজ-কালভার্ট বিধ্বস্ত করেছিল। সেই দেশকে বঙ্গবন্ধু পুনর্গঠিত করেছিলেন। ৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর