মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা খেলা

চলে গেলেন ফুটবলের রাজপুত্র!


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৫৩ : অপরাহ্ণ

৬০ বছর বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ‘‌ফুটবলের রাজপুত্র’‌ দিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার গলি থেকে উঠে এসে নিজের বাঁ–পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করেছিলেন গোটা ফুটবলবিশ্বকে। কখনও একসঙ্গে ৬–৭ জনকে কাটিয়ে গোল করে যেমন শিরোনামে উঠে এসেছেন, তো কখনও আবার জড়িয়েছেন একাধিক বিতর্ক। ২৫ নভেম্বর, বুধবার শেষ হল সেই বর্ণময় অধ্যায়।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পরে তাঁকে বুয়েনোস আইরেসের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক ক্লিনিকে। সেখানে তাঁর অ্যালকোহল আসক্তি দূর করার চিকিৎসা চলছিল।

ম্যারাডোনার আইনজীবি বলেছেন, বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।

মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় এই মাসের গোড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। ১১ নভেম্বর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে।

ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা সেই সময় বলেছিলেন যে, সম্ভবত জীবনের কঠিনতম সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ম্যারাডোনাকে। মস্তিষ্কে জমাট বাঁধা রক্তের জন্য প্রাণ হারানোরও আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

ম্যারাডোনার ফুটবলজীবন ঘটনাবহুল। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন ফুটবলবিশ্বকে। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। ১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু, সেরা করতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান মারাদোনা। শুরু করেন কোচিং। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর সময়ও তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্লাব জিমনাসিয়া ডি লা প্লাটার কোচ।

তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফুটবলবিশ্ব। একের এক আসছে শোকবার্তা। কিংবদন্তি ফুটবলারকে শ্রদ্ধা জানানোর পালা চলছে। অনেকের মতে, তিনিই বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার।

তবে বিতর্ক আজীবন সঙ্গী হয়েছে তাঁর। ১৯৯৪ সালে আমেরিকা বিশ্বকাপে ডোপ পরীক্ষীয় ধরা পড়ার পর তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ড্রাগের কারণে দীর্ঘ সময় ভুগতে হয়েছিল তাকে। ওজনও বেড়ে গিয়েছিল। মদ্যাপানে আসক্তির জন্যও সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি।

ম্যারাডোনা বললেই ফুটবলপ্রমীদের মনে পড়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মারাদোনার দুটো গোলের কথা। প্রথমটি ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে পরিচিত। এবং বিতর্কিত। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল ম্যারাডোনার হাতে লেগে বল জালে জড়িয়েছিল। সেই গোলকেই ‘হ্যান্ড অফ গড’ বলেছিলেন ম্যারাডোনা। তবে সেই ম্যাচেই এর পরে তাঁর গোল ছিল চোখজুড়নো। একের পর এক ফুটবলারকে কাটিয়ে গোল করেছিলেন তিনি। যা মুগ্ধতায় ভরিয়েছিল ফুটবলরসিকদের।

মন্তব্য করুন


আরও খবর