রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ নভেম্বর, ২০২০ ৭:০১ : অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই দেশের উপকূলীয় এলাকায় তৈরি হয়েছে আরেক দুর্যোগের আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ মোকাবিলায় তাই জোরেশোরে প্রস্তুতি শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ এ পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর পশ্চিমে সরে ঘণীভূত হয়ে এগিয়ে আসতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। এটি ভারতের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
আজ (২৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ‘নিভার’ আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে মোংলা থেকে ১ হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার রয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য কোন সতর্কবাণী নেই এবং কোন সংকেত দেখাতে হবে না। তবে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে অবস্থানরত নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলের তেতুঁলিয়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চট্টগ্রামে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যস্থানে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।