রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২০ ৭:৫৬ : অপরাহ্ণ
‘স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২১ বছর ধরে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। স্বাধীনতার খলনায়ককে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে স্কুলের দফতরীকে হেডমাস্টার বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতার এই বিকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পরিবেশন করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’
রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে ‘বকনা বাছুর’ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভা কক্ষ থেকে অনলাইনে ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সেই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদেরকে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।’
প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ধীরে ধীরে দেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্ম জানছে বিধায় মির্জা ফখরুল সাহেব ও বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের রায় নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই বিকৃতির গতি বন্ধ হয়েছিল এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটির সংশোধন সম্ভবপর হয়েছিল।
২০০১ সালের পর আবারও স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু বিকৃত করাই নয়, টেলিভিশনের অনেক ফুটেজ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। রেডিও-টেলিভিশনে সংরক্ষিত আর্কাইভ থেকে প্রায় সমস্ত জিনিস ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। যাতে এই সত্যগুলো পরবর্তী প্রজন্ম না জানে। এরপরও কিছু কিছু থেকে গেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যে দলের নেতারা দুর্নীতি আর খুনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর জন্মদিন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পালন করে, তাদের রাজনৈতিক দৈন্য সেই জায়গায় গেছে, এ কারণেই তাদের এই গাত্রদাহ।’
‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ আছে শেখ হাসিনার শাসনতন্ত্র’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গয়েশ্বর বাবু সকালে একবার ও বিকেলে আরেকবার আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। এটিই প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র আছে। দেশে গণতন্ত্র হরণ করে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। আর যখন ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনীকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখনও গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল।’