রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২২ নভেম্বর, ২০২০ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ
পাকিস্তানের পেশাওয়ারে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে রোববার (২২ নভেম্বর) সরকারবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো সম্প্রতি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখছে।
তাদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন ইমরান খান।
অন্যদিকে ইমরান খান বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিরোধী দল যতই লাফালাফি করুক ২০২৩ সালের আগে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে না।
পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) ১৬ অক্টোবর থেকে একের পর এক বিক্ষোভ আয়োজন করেছে।
দক্ষিণপন্থী ধর্মীয় দল থেকে শুরু করে কিছুটা বামপন্থী চিন্তাধারার দল, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্যরাও এই দলের সঙ্গে যুক্ত।
দেশটির চারটি রাজ্যের তিনটিতেই- পাঞ্জাব, সিন্ধ ও বেলুচিস্তানে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাইবার পাখতুনওয়ালা রাজ্যেও রোববার প্রথমবারের মতো সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়।
বিরোধী দলগুলো বলছে– তারা ‘জনগণের প্রতিনিধিত্ব না করা’ এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। সরকারের বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থার ওপর প্রভাব তৈরি করা এবং অর্থনীতির অব্যবস্থাপনার অভিযোগও তুলেছে তারা।
রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ইমরান খানও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো ধরনের আঁতাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সূত্র: বিবিসি