রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ নভেম্বর, ২০২০ ১১:১২ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে কোথাও জামায়াত-শিবির থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট-মৌলবাদী, জামায়াত-শিবিরের স্থান বিপ্লবের তীর্থভূমি চট্টগ্রামে হবে না, সারা বাংলাদেশেও হবে না। আমরা একাত্তরে তাদের একবার পরাজিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ শুরু হবে। তাদের ঘরে ঢুকিয়ে না দিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।’
শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের হুমকির প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলা নামের একটি সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই মৌলবাদী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড দেশে নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে এই ফ্যাসিস্ট-মৌলবাদী সংগঠনগুলোকে শুধু নয়, জামায়াত-শিবির-রাজাকারদেরও পুর্নবাসিত করেন। পুর্নবাসিত হওয়ার পর তারা আবার আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা বারবার স্পর্ধা দেখিয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর কথা বলেছে, বাংলাদেশের নাম নিয়ে কথা বলেছে। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে তারা। বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীন করেছে, তাই তাদের চোখে বঙ্গবন্ধু অপরাধী।’
হুমকিদাতারা কাগুজে বাঘ উল্লেখ করে তাদের উদ্দেশে মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বলেন, ‘ইসলাম কি আপনাদের ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করতে বলেছিল? ইসলাম কি আলবদর-রাজাকার সৃষ্টি করতে বলেছিল? বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করার জন্য কি ইসলাম বলেছিল ? মা-বোনের সম্ভ্রম হরণের কথা ইসলামের কোথায় লেখা ছিল? মুক্তিকামী মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হবে তখন আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।’
ছাত্রলীগের নেতাদের শিবির সম্পর্কে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই জামায়াত-শিবির তোমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আজ তোমাদের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের কোনোভাবে জায়গা দেওয়া যাবে না। এরা জাতশত্রু। এরা কোনোদিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানবে না। আমরা তাদের প্রতিহত করবো।’
অপরাজেয় বাংলা, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, অপরাজেয় বাংলা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব এইচ রহমান মিলু, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, সুচিন্তা চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী, অপরাজেয় বাংলা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর যুবলীগের সদস্য মেজবাহ চৌধুরী মোর্শেদ, হেলাল উদ্দীন, শাখাওয়াত হোসেন স্বপন, সাবেক সদস্য আসহাব চৌধুরী, ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল, মহানগর যুবলীগের সদস্য কাজী রাজেশ ইমরান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক রায়হান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমেন বড়ুয়া, উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুন্নবী শাহেদ।