বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সেই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদেরকে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির প্রথম এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও বক্তব্য দেন।
ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এমন এক সময়ে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পরিকল্পনা করছি, যখন দেশের স্বাধীনতাই বিপন্ন হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা, গণতন্ত্র একেবারেই নেই। সমগ্র দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে নুইয়ে পড়লে চলবে না। ভবিষ্যত যে স্বপ্ন সেটা আলোচনার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন আলোচনা, বিভিন্ন প্রকাশনা, বিভিন্ন ডকুমেন্টেশনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার এই একটা সুযোগ আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল বিএনপি। মুক্তিযোদ্ধাদের দল বিএনপি।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘উদযাপনের একটি থিম ঠিক করতে হবে। তিনটি বিষয়ের সেমিনার করা উচিৎ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী-শিশু নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা করতে হবে। দুর্নীতি, গণতন্ত্রের সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করতে হবে। তাহলে একটি পরিবর্তন আসবে। আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে ছোটো করার চেষ্টা করছে। এগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কোন দল আছে, যে দলের মহাসচিব সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা, যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শৈশবে মায়ের সঙ্গে কাগাগারে ছিলেন।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কালুরঘাটকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করা দরকার। সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে যেসব প্রকাশনা বের হবে, সেগুলোকে স্তরে স্তরে পৌঁছে দিতে হবে।’
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘ছোটদের জিয়াউর রহমান বিষয়ে চটি বই বের করতে হবে। এটা বের করা ফরজ হয়ে গেছে।’
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। পৃথক-পৃথক অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর (বীর উত্তম), শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিবুন নবী সোহেল। সঞ্চালনা করেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম।