আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতারা ঘরে বসে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বিএনপি কোনো বিক্ষোভই দেখাতে পারেনি। তারা নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন—সরকার জনগণের মনের ভাষা বোঝে না। আমি বলতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা চোখের ভাষা বুঝতে পারেন বলেই এত জনপ্রিয়। বিএনপি জনগণের ভাষা তো বুঝতে পারা দূরের কথা, তাদের কর্মীদের মনের কথাই তো বোঝে না। বিএনপি নেতারা কর্মীদের পাশে দাঁড়ান না, এজন্য কোনো কর্মী আন্দোলনে সাড়া দেয় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত হৈচৈ করে। কিন্তু নির্বাচনের দিন বলে, এজেন্টকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, পরে নির্বাচন বর্জন করে। কোথায় এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে, পারলে প্রমাণ দিন। বিএনপিকে জেতানো যেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। বিএনপি যেকোনো নির্বাচনে পরাজিত হলেই দায় চাপায় সরকার, নির্বাচন কমিশন আর নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর। আর জয়ী হলে বলে, সরকার হস্তক্ষেপ না করলে আরও বেশি ভোটে জিততে পারতো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ আইনের শাসনের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। বিচার নাকি পায় না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের। একুশে আগস্ট হামলাও বিএনপি করেছে। এরপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বাসায় যান তার ছেলের মৃত্যুর পর। কিন্তু তারা কী আচরণ করলো দেশবাসী দেখেছে।
বিএনপির শামসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা ভূতের মুখে রাম নাম। গণমাধ্যম আর মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতার কথা তারা বলছেন। খুলনায় সাংবাদিক মানিক সাহাকে কারা হত্যা করেছিলো, হুমায়ুন কবির বালুর হত্যাকাণ্ডের কথা ভুলে গেছেন? শাসছুর রহমান, দীপঙ্কর চক্রবর্তীসহ অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা কারা করেছিল?