রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৯ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৪৭ : অপরাহ্ণ
সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, অফিস-আদালত, মিলকারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোনো কিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। আমি মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে বিরোধীদলীয় উপনেতা এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে জিএম কাদের বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে গত মার্চ থেকে অদ্যাবধি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ এবং অটো পাস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন দেখছি যে অফিস-আদালত, মিলকারখানা, দোকানপাট, যানবাহন, হাটবাজার কোনোকিছুই বন্ধ রাখা হচ্ছে না। যানবাহনে সবখানে আমরা একসঙ্গেই ঘোরাফেরা করছি। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা দেখি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মতো মৌলিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নামে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ ব্যাহত করা হচ্ছে। এটা কখনোই মঙ্গলজনক নয়। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে সবাইকে অটো পাস দেওয়াতে মেধাবী ছাত্রদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। কাজেই বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত যে যারা অনুপস্থিত থাকতে চান তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।
জিএম কাদের বলেন, যারা অটো পাস চান তাদের অটো পাসের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু যারা ক্লাস করতে চান তাদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। যারা পরীক্ষা দিতে চান তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া উচিত। এটাকে ম্যানেজ করা খুব কঠিন ব্যাপার নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটু চেষ্টা করলে করতে পারে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, নাম সর্বস্ব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার জনগণের সঙ্গে প্রচারণা করে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানগুলো চলতে পারে না। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
পণ্যের বাজারে অব্যবস্থাপনা চলছে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, হঠাৎ করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। এর পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করছে। জনগণের স্বার্থে বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।