রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৭ নভেম্বর, ২০২০ ৫:৫৫ : অপরাহ্ণ
সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের জন্য জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন রাখেন-সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ীই যদি আসামি করা হয়ে থাকে তাহলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মামলায় আসামি করা হলো কীসের ভিত্তিতে?
আজ (১৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে এই মামলাগুলো যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট তা সুনিশ্চিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিবাদী সরকারের এই অপতৎপরতা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন সেই ঘটনার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে এবং গ্রেপ্তারের নামে বাসাবাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।‘
গত ১২ নভেম্বর ছিল সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় উপনির্বাচন। এ দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা হয়েছে। এতে পাঁচ শতাধিক আসামি করা হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বিএনপির নেতাকর্মী। এসব মামলায় এরই মধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘সরকারের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যখন নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে, তখন সরকার স্বভাবসুলভভাবে মিথ্যাচার ও নাটক সাজিয়ে আবারও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। সরকার বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা হয়েছে, অথচ একটি মামলার বাদী হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন যে, তিনি মামলা দায়ের করেননি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভুয়া বাদীর সেই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন, কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকা এমনকি দুই বছর যাবত পঙ্গুত্ববরণকারী নেতাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নেতাকর্মীদের এহেন মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব অবিলম্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।