রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৫ নভেম্বর, ২০২০ ৭:৩৩ : অপরাহ্ণ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারে দিনে-দুপুরে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল এ সময় অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে নগদ প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুত উথলী বিশেষ ক্যাম্পের বিজিবি ও জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া পিস্তলের ম্যাগাজিন উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একাধিক দল, বিজিবি ও সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্যাংকটিতে সিসিটিভি ছিলো না। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। দোষীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
সোনালী ব্যাংকের উথলী শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মোটরসাইকেলযোগে তিনজন এসে ব্যাংকে প্রবেশ করে। এরপর তারা পিস্তল উঁচিয়ে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে দেয়। এবং ব্যাংকের সবার মোবাইল ফোন নিয়ে একটি কক্ষে সবাইকে আটকে রাখে। পরে ব্যাংকের কাউন্টারে থাকা ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
এ সময় টাকা তুলতে আসা এক গ্রাহক চিৎকার শুরু করলে বাজারের লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। তারা পিস্তল উঁচিয়ে লোকজনকে গুলি করার হুমকি দিলে লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারতে থাকে। ডাকাতরা মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। সব মিলিয়ে মাত্র পাঁচ মিনিটের ভেতর টাকা লুট করাসহ পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের ভল্ট খুলে দিতে বাধ্য করেন। তবে ওই সময় টাকা তুলতে একজন গ্রাহক ব্যাংকে এসে অস্ত্রধারীদের দেখে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অস্ত্রধারীরা দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তাই ভল্টের কোনো টাকা লুট হয়নি।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মুনিম লিংকন প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অস্ত্রধারী তিনজন দুর্বৃত্ত একটি মোটরসাইকেলে করে উথলী যান। ব্যাংক লুট শেষে একই মোটরসাইকেলে করে আন্দুলবাড়িয়ার দিকে চলে যান।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, রোববার বেলা ১টা ৫ মিনিটে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন অস্ত্রধারী ব্যাংকে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের গার্ড ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করে আনুমানিক ৮ লাখ টাকা লুট করে চলে যায়। দুষ্কৃতিদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এর আগে ব্যাংকের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও গ্রাহকদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।