রাজনীতি প্রকাশের সময় :১৩ নভেম্বর, ২০২০ ১:১৪ : পূর্বাহ্ণ
রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই সদস্যদেরদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় চাই যে দেশের প্রতি যদি ভালোবাসা না থাকে, মানুষের প্রতি যদি দায়িত্ববোধ না থাকে, কর্তব্যবোধ না থাকে তাহলে যেকোনো দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা যায় না।’
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ডিজিএফআইয়ে কর্মরত অফিসার এবং অন্যান্য পদবির সদস্যদের জন্য নবনির্মিত বাসস্থানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ডিজিএফআই অফিসার্স মেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেন।
প্রেস সচিবের বর্ণনা অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখতে পারলে তাদের মেধা কাজে লাগাতে পারবো। দেশের মানুষের শক্তিটাকে উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে পারবো। সেভাবেই আমাদের দেশকে গড়তে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে দেশটাকে জানতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। যেটা আমি আমার বাবার কাছ থেকে, মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। সেটাই আমি সবসময় চাই। দেশের প্রতি যদি ভালোবাসা না থাকে, মানুষের প্রতি যদি দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যবোধ না থাকে, তাহলে যেকোনও দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা যায় না।’
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী একান্তভাবে অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলছিলেন। অপরদিকে এই সশস্ত্র বাহিনীকেও যথাযথভাবে তিনি গড়ে তুলেছেন। তার যে ভবিষ্যৎবাণীগুলো, তিনি যে আমাদের একটা নীতিমালা দিয়ে গেছেন, প্রতিরক্ষা নীতিমালা, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে সেটা মেনেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে আমরা চাই দেশটাকে তার (বঙ্গবন্ধুর) আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে। দেশের প্রতিটি মানুষ পেট ভরে খাবে, হেসে-খেলে বাঁচবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেটাই করতে চাই।’
এ সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।