প্রকাশের সময় :১০ নভেম্বর, ২০২০ ৩:২১ : অপরাহ্ণ
রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক
কোভিড ১৯-এ বিপর্যস্ত বিশ্ব। পৃথিবীর ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে রোগীর সংখ্যা প্রায় পৌনে চার কোটি ছুঁয়েছে। আর মৃত্যু ছাড়িয়ে গেছে ১০ লাখ ৭৭ হাজার।
শীতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই এ সময়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। করোনা যেহেতু ঠাণ্ডা বাড়ে, তাই বাড়তি সতর্ক হিসেবে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি গরম খাবার খাওয়া ও শীতের পোশাকও ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া নিযমিত শরীরে সকালের রোদ লাগাতে পারলে ভালো।
আসুন জেনে নিই শীতে করোনা সংক্রমণ রোধে করণীয়-
১. করোনা সংক্রমণ রোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করা। মাস্ক ব্যবহার করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি রোধ করতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আর বাইরে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।
২. শীতে যেন ঠাণ্ডা না লাগে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এ সময় গরম পোশাক ব্যবহার করতে হবে এবং সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
৩. প্রয়োজনের তুলনায় টেস্টের পরিমাণ অনেক কম হওয়ায় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির যথাযথ বিশ্লেষণ করা বেশ কঠিন। করোনা টেস্ট বাড়াতে হবে।
৪. আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তবে এ মুহূর্ত থেকে তা ছেড়ে দিন। এতে ফুসফুসের ক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়বে।
৫. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোভিডে আক্রান্ত হলে ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। সংক্রমণ রোধে এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬. শরীরে পুষ্টিজনিত ঘাটতি পূরণে বেশি করে সবুজ সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
৭. গবেষণায় দেখা গেছে, মদ্যপান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এ অভ্যাস থাকলে আজই ছেড়ে দিন।
৮. দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টার কম ঘুমালে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
৯. কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে শহরের বেশিরভাগ মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করেন না। তাই প্রতিদিন বাড়ির ভেতর অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটুন। ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সকালে গায়ে রোদ লাগাতে হবে।
১০. দুশ্চিন্তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এ সময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, মেডিটেশন করুন, ভালো বই পড়া ও সুন্দর একটা মুভি দেখতে পারেন।
লেখক:
ডা. উত্তম কুমার দাস
কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল।