মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। আর তা জানার পরই আনন্দে আত্মহারা হলিউডের একটা বিরাট অংশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেনিফার লরেন্সও। আর বাইডেনের জয়ে তিনি এতটাই খুশি, যে সেই খবর শোনার পরই লাফাতে লাফাতে ঘর ছেড়ে পথে নেমে এসেছিলেন তিনি। অর্থাৎ তাঁর মনেই ছিল না যে, তাঁর পরনে রয়েছে পায়জামা!
একটা সময় জেনিফার ছিলেন রিপাবলিকান দলের কড়া সমর্থক। কিন্তু ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা আসতেই রিপাবলিকানদের নিয়ে মোহভঙ্গ হয় ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ তারকার। রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রকাশ্যেই বুঝিয়ে দেন, ট্রাম্পের প্রবল বিরোধী তিনি। তাই গতকালের তাঁর রাস্তায় নেমে নাচের দৃশ্য অনেকেই খুব একটা অবাক হননি।
ছাইরঙা ফুলহাতা টপ, গোলাপি পায়জামা পরা মুখ মাস্কে ঢেকে রাস্তায় দৌড়তে শুরু করেন। সেইসঙ্গে ছিল শিশুদের মতো চিৎকার। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, বাইডেনের জয় মানে এ যেন তাঁরই জয়।
জেনিফার এখন রয়েছে আমেরিকার বোস্টনে। সেখানে চলছে তাঁর নতুন সিনেমা ডোন্ট লুক আপ-এর শুটিং। সম্প্রতি তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি আর রিপাবলিকানদের সমর্থন করেন না। প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছিলেন, ‘এবার আমি বাইডেনকে ভোট দেব। কারণ, ট্রাম্প আমেরিকার উন্নয়নের বদলে নিজের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হিসেবে আমার মূল্যবোধের দাম দেয়নি লোকটা।’
আদতে কিন্তু রিপাবলিকান পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন জেনিফার। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই মোহভঙ্গ হয় তাঁর। ট্রাম্পকে নিয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেন, ‘ট্রাম্প এমন একটা লোক, যে বারবার নিয়ম ভেঙেছে, শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য নিয়ে টুঁ শব্দটি করেনি। এমন লোককে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না।’
উল্লেখ্য, ‘ডোন্ট লুক আপ’ ছবিটি মুক্তি পাবে ২০২২ সালে। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে সেই ছবি। জেনিফার ছাড়া অভিনয় করছেন লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও, কেট ব্ল্যানচেট প্রমুখ।
সূত্র : এই সময়