শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ | ১২ জিলকদ, ১৪৪৪

কোটি টাকার রাজকীয় খাট, কী আছে এতে?


প্রকাশের সময় :৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:৪১ : অপরাহ্ণ
ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি আসবাবপত্রের স্টলে উঠানো হয়েছে বিশাল আকৃতির এই রাজকীয় খাট। ছবি: সংগৃহীত

খাটের চার কোণে ডানা মেলে দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে চারটি কাঠের তৈরি পরী। সেই পরীদের ডান হাতে রয়েছে আবার প্রজাপতি। ওই চারটি পরীর মাথার ওপর থেকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কাঠের ফ্রেম।

খাটের পায়ের পাখা, জলম এবং বক্সের অংশে রয়েছে ছোট বড় আরও ১২টি পরী সদৃশ্য। পুরো খাটজুড়ে রয়েছে হাতে খোদাই করা নকশা।

যদি কোনো রাজা মহারাজা থাকতেন তবে দৃষ্টিনন্দন পরী পালং ওই খাটের দিকে তাদের নজর আটকে যেতো। রাজার শোয়ার ঘরেই শোভা পেতো খাটটি। তা যতো দামই হোক না কেন।

ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি আসবাবপত্রের স্টলে উঠানো হয়েছে বিশাল আকৃতির এই রাজকীয় খাট। সেগুন কাঠ দিয়ে সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে বানানো ওই খাটের দাম চাওয়া হচ্ছে ১ কোটি টাকা।

অত্যাধুনিক কারুকাজের এই খাটটি দেখতে মেলার স্টলটিতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর (৩৫) খাটটি তৈরি করেছেন।

শখের বসে খাটটি বানিয়েছেন গুইমারা ইউনিয়নের ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. নুরন্নবী।

শখের বশে বানালেও তিনি খাটটি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন ঢাকা বাণিজ্য মেলায়।

মো. নুরন্নবী বলেন, ‘আমরা শুনেছি আগেকার দিনের রাজা-বাদশাহরা এ ধরণের খাট ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই সম্পূর্ণ মনের মাধুরী দিয়ে শখের বশে খাটটি বানিয়েছি। বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসুক লোকজন খাটটি দেখতে আসছেন। দেশের কোথাও এমন খাট আর একটাও নেই বললে চলে।’

তিনি জানান, খাটটি বানাতে খরচ হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। মিস্ত্রীকে পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ঢাকার এক ব্যক্তি খাটটি ৭০ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছেন। আমি এক কোটি হলে খাটটি বিক্রি করবো।

নুরন্নবী জানান, এই খাটের সঙ্গে উপহার হিসেবে একটি এফ জেড মোটরসাইকেল এবং ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হবে।

কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর জানান, অত্যাধুনিক কারুকাজের মাধ্যমে এই খাট তৈরি করতে ৩ বছর ৩ মাস সময় লেগেছে। খাটটি তৈরিতে কোনো ক্যাটালগ ব্যবহার করা হয়নি। খাটটিতে ১৬টি পরী, ৪টি প্রজাপতি ও ৪টি চাঁদ রয়েছে। এটি তৈরি করতে ৮৫ ঘনফুট সেগুন কাঠের প্রয়োজন হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাণিজ্য মেলায় ছুটির দিনে দর্শনার্থীর ঢল, বিক্রি কম

মন্তব্য করুন


আরও খবর