ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বলেন, অভিনেত্রী শমী কায়সারকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে।
উত্তরা পূর্ব থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী শমী কায়সার, তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার একটি মামলা করেন। সে মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেপ্তার হলেন এই অভিনেত্রী।
শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ২০২৪-র নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। তবে আসনটি থেকে মনোনয়ন পাননি তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি।
শমী কায়সার নব্বই দশকের একজন নামকরা অভিনেত্রী এবং পরবর্তীতে প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই-ক্যাবের সভাপতি ছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেন ১৪ আগস্ট ই-ক্যাবের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ২৪ এমপি-মন্ত্রীর আছে বিদেশি নাগরিকত্ব