রাজধানীর মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এ সময় তারা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারা বিক্ষোভ করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আল আমিন ও রুমা বেগম নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে গেলে প্রথমে শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে আত্মরক্ষায় পুলিশও লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে দেওয়া আগুন নিভিয়েছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে কচুক্ষেতে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।
ভাষানটেক থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার