রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:২৮ : অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কারাবরণ ও অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরেছেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে তিনি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
এ সময় বিমানবন্দরে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিবাদ বিদেশে বসে তার বিদেশি প্রভু এবং বাংলাদেশের এজেন্টদের নিয়ে বিপ্লবকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
উপস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যেন কোনো অনৈক্য না আসে।’
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। আইনজীবী এখন পর্যন্ত ১০৭টি মামলার হিসাব আমাকে পাঠিয়েছে। আরও মামলা থাকতে পারে। সেই মামলার মধ্যে একটি উদ্ভট এবং বিচিত্র এক মামলায় আমাকে সাত বছরের সাজাও শুনিয়েছে সরকার।’
আগামীকাল পর্যন্ত হাসপাতালে মায়ের পাশে থাকতে চান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘রোববার আমি নিম্ন আদালতে গিয়ে শেখ হাসিনার দেওয়া সাজা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মোকাবিলা করব।’
আদালত থেকে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে আমার দেশ সম্পাদ বলেন, ‘সে রকম আশঙ্কায় আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। শেখ হাসিনার আমলে আমি পাঁচ বছর কারাগারে ছিলাম। এই আমলে পাঁচ মাস কারাগারে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক ও শারীরিক শক্তি এখনো আমার আছে।’
উপস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আপনারা এটা নিয়ে একদম বিচলিত হবেন না, উদ্বিগ্ন হবেন না। আইনকে তার রাস্তায় যেতে দিন, আমাকে আমার মতো করে লড়াই করতে দিন।’
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার শাসনামলে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ করাসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় বিভিন্ন মামলা রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
পরবর্তীতে এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপরই তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে তৎকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিচার কেন হবে না, প্রশ্ন ড. ইউনূসের