সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১৫ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা দেশজুড়ে

ভারতের সঙ্গে নীরবতা-নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ: রিজওয়ানা হাসান


ফেনীর পরশুরামের সীমান্ত সংলগ্ন কালিকাপুর এলাকায় বল্লারমুখ বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, ফেনী
প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ

পানিবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘সময়টা শেষ হয়ে গেছে, সরকারি পর্যায়ে যদি কোনো নীরবতা থেকে থাকতো, নিষ্ক্রিয়তা থেকে থাকতো, সেই দিনটা শেষ হয়ে গেছে।’

আজ রোববার সকালে বন্যাকবলিত ফেনীর পরশুরাম উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন কালিকাপুর এলাকায় বল্লারমুখ বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘উজানের দেশ ভারত ও ভাটির দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রয়েছে ৮টি অভিন্ন নদী। মোট ৫৪টি নদীর এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। প্রতি বছরই বন্যায় আমাদের দেশের মানুষ প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা, প্রত্যাশার কথা তাদের চাহিদা অনুযায়ী উজানের দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলা যায়। সেটা বুঝতেই মাঠ পর্যায়ে আসা।’

 

এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নদীর পানি শুধু রাজনীতি নয়, এটা কূটনীতি ও অর্থনীতিও। জনগণের চশমা দিয়ে সমস্যা দেখতে এসেছি। জনগণের কাছে জানতে এসেছি তারা কী সমাধান চায়। স্থানীয় জনসাধারণ বলেছে যে প্রতিবেশী দেশ বাঁধ কেটে দেওয়ায় তারা বন্যায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের নদীতে কোথায় বাঁধ আছে, কী পরিমাণ পনি হলে তারা পানি ছাড়বে তা জানানো হলে হয়তো বন্যা ঠেকানো যেতো না। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতো।’

এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আর কিছু না হোক মানবিক কারণে পানি ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক জায়গায় বসতে হবে। এবিষয়ে আমাদের দেশে রূপরেখা নির্ধারণ ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনা চলছে। দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে সরকারিভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। মানুষের কথা শুনতে পরিদর্শনে এসেছি। এ কথাগুলো আন্তর্জাতিক কনভেনশনে তুলে ধরা সহজ হবে। এছাড়াও আগামীতে জাতিসংঘে বিষয়গুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।’

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রাখার: হাসনাত

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর