রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৩:১৭ : অপরাহ্ণ
অবৈধভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বিগত তিন নির্বাচন আয়োজন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও সচিবসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি করেন একরামুল করিম নামের এক বিএনপি নেতা। তিনি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদকে। পর্যায়ক্রমে ওই নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা চার নির্বাচন কমিশনার এই মামলার আসামি। এ ছাড়া ২০১৮ ও ২০২৪ সালে দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আইয়ালসহ কমিশনের সচিব ও অন্য সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে গত তিন মেয়াদে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাদী অভিযোগে বলেন, গত তিন নির্বাচনে বিরোধীদলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনি মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
মামলায় একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারাও অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করায় তাদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান, ২০১৪, ‘১৮ ও ‘২৪ সালে সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে ছিলেন, তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসব কারণে রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণা মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে সংসদ সদস্য যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করায় তাদেরও এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশনারদের ধাওয়া, জুতা নিক্ষেপ