রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৭:১৯ : অপরাহ্ণ
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
আজ রোববার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হচ্ছে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের ২৬তম পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে চুক্তিতে আরও দুই বছর তাকে একই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাকে দুই বছরের জন্য জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সূত্র বলছে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে মোমেন পেশাদারিত্বের বদলে বিবেক-বিবেচনাহীনভাবে হাসিনার শাসন পোক্ত করার পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখেন। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধেও বলিষ্ঠ অবস্থান ছিলো তার।
হেলিকপ্টার থেকে গুলির ঘটনা অস্বীকারের চেষ্টা ছিল তার অন্যতম উদাহরণ। এ জন্য ৫ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর থেকেই পররাষ্ট্র সচিবের বিদায়ের আওয়াজ উঠে। তিনিও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। অবশেষে আজ তার নাটকীয় বিদায়ের ঘটনা ঘটলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি। তবে আজ রোববার রাতের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নীতিনির্ধারকদের তরফে এমন সবুজ সংকেত পেয়েই সচিবকে বিদায় দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র সচিব হলেন বাংলাদেশ সরকারের একজন সিনিয়র কূটনীতিক। সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কিন্তু অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট করার দায়বদ্ধতা রয়েছে তার।
২০২৪ সালে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডামি নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিবের দৌড়ঝাপের কারণে তাকে ‘অ্যাক্টিভিস্ট ডিপ্লোম্যাট’ বলে আখ্যা দিয়েছিলো ইন্ডিয়ান মিডিয়া। স্মরণ করা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে পররাষ্ট্র সচিবের চেয়ারে মাসুদ বিন মোমেন।
আরও পড়ুন: পিকআপ ভ্যানে ৭ শিক্ষার্থীর লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ!